অপারেশন তেলআবিব-২ অধ্যায়-১৫ Saimum Series - 2

অধ্যায়-১৫
দানবীয় গতিতে এগিয়ে চলেছে ‘প্যানামে’র বোয়িংটি। নীচে আরব সাগরের অথৈ জল।
বিমানের মধ্যভাগ দিয়ে লম্বালম্বী এক সরু গলিপথ। এর দু’পার্শ্বে সারিবদ্ধ আসন।
প্রথম শ্রেণীর বাম ধারের দ্বিতীয় সারির একেবারে বামপ্রান্তে জানালার ধারে বসেছে আহমদ মুসা।
জানালা থেকে চোখ ঘুরিয়ে ডানপাশে তাকাতে গিয়ে একটি লোকের সাথে হঠাৎ চোখাচোখি হয়ে গেল আহমদ মুসার। লোকটি বসেছে ওধারে দ্বিতীয় সারির প্রথম সিটটিতেই।
শ্বেতাংগ লোকটি। গাঢ় নীল স্যুট পরনে। লম্বাটে মুখ। খাড়া নাক। জোড়া ভ্রু। ছোট করে ছাঁটাচুল। ডান ভ্রুর নীচে চোখের মোহনায় একটি আঁচিল। সবচেয়ে লক্ষণীয় তার কুতকুতে কুৎসিত দু’টো চোখ।
চোখাচোখি হতেই লোকটি অপ্রতিভভাবে চোখ সরিয়ে নিল। মুখও ঘুরে গেল তার সেই সাথেই।
বিস্মিত হল আহমদ মুসা। লোকটি অমন করে মুখ ঘুরিয়ে নিল কেন? তার দিকে অমন করে চোরা দৃষ্টি রাখার কারণ কি লোকটির? সমগ্র অতীতকে সে একবার হাতড়িয়ে দেখল না এই মুখ সে কখনও দেখেনি। হঠাৎ তার মনে পড়ল জেদ্দার রেস্ট হাউসে তার পাশের রুমটিতে এই লোকটিকেই তো সে ঢুকতে দেখেছিল।

অপারেশন তেলআবিব-২ অধ্যায়-১৪ Saimum Series - 2

অধ্যায়-১৪

এক মাস পরের ঘটনা। হাইফা নৌ-ঘাঁটির সদর দফতরে বসে আছে আহমদ মুসা। প্রশস্ত উন্মুক্ত জানালা দিয়ে পাবে কি ফিলিস্তিনের সাইমুমকর্মীরা সে গৌরবময় দিনের পুনরুজ্জীবন করতে? তারিকের জন্ম হবে না কি আমাদের মধ্যে আর? আহমদ মুসার চোখের কোণে চিক চিক করে উঠল দুই ফোঁটা অশ্রু।
নৌ-সদর দফতরের গেটে জাতীয় সরকারের পতাকাশোভিত একটি গাড়ি এসে থামল। গাড়ি থেকে নামল ফিলিস্তিন জাতীয় সরকারের প্রধান মাহমুদ। সে হাত ধরে নামাল এমিলিয়াকে। তার সাথে নামল নিনা নাদিয়াও। সর্বাঙ্গ কাল চাদরে ঢাকা এমিলিয়া। তার পরনেও ফুল আরবীয় পোশাক। তার উপর মাথায় চাদর। এমিলিয়া ও নাদিয়া দু’জন হাত ধরাধরি করে সিঁড়ি ভেঙে ঢুকে গেল ভেতরে।
তারা রেষ্টরুমে পৌছে গেলে মাহমুদ চলে এল অফিস কক্ষে। দরজা ঠেলে প্রবেশ করে দেখতে পেল জানালা দিয়ে সাগরের দিকে চেয়ে বসে আছে আহমদ মুসা। তন্ময়তার কোন অতল গভীরে ডুবে আছে সে!

অপারেশন তেলআবিব-২ অধ্যায়-১৩ Saimum Series - 2

অধ্যায়-১৩

একটা মিলিটার গান-বোট চলছে ভুমধ্যসাগর ধরে পূর্বে ফিলিস্তিন উপকূলের দিকে। গান বোটের ড্রাইভিং চেয়ারে আহমদ মুসা। তার সামনে পার্টিশন আনফোল্ড করা উন্মুক্ত কেবিনে বসে আছে এমিলিয়া ও নিনা নাদিয়া পাশাপাশি। পাশেই একটু সরে বসে আছে খতিব আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান।
মিলিটারি গানবোটটি অত্যাধুনিক।
ডেকের দু’পাশেই ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চার। আর কেবিনের ছাদে বিমান বিধ্বংসি কামান।
বোটটি দখল করে রাত সাড়ে তিনটায় তারা বোটে উঠেছে।
মিলিটারি বোটটি বাঁধা ছিল প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটা ছোট্ট গোপন জেটিতে। জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্যে এ ধরনের বোট প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের উপকূলে আরও কয়েকটি আছে।
সব সময় একজন সেনা অফিসার ও সেনা-ক্রু থাকে জরুরি অবস্থায় দায়িত্ব পালনের জন্যে।
নিনা নাদিয়াই এ বোটটা দখল করেছিল।

অপারেশন তেলআবিব-২ অধ্যায়-১২ Saimum Series - 2

 অধ্যায়-১২

ঘুম ভেঙে গেল আহমদ মুসার।
ধাতব একটা ক্ষীণ শব্দ কানে আসছে। ক্ষীণ হলেও এই শব্দেই তার ঘুম ভেঙে গেছে, বুঝল আহমদ মুসা।
ঘুম ভেঙে গেলেও চোখ খোলেনি।
বন্দী সেলে তখন তীব্র আলো। চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার মত আলো। এরকম আলোর মধ্যে চোখ বন্ধ করে রাখলেই সুবিধা। তাছাড়া শব্দটার গতি কি হয় সেটাও সে আঁচ করতে চায়। সে বুঝতে পারছে, শব্দটা তার সেলের দরজা থেকে। তার মানে দরজায় কেউ আছে। চোখ খুললেই সে জেনে যাবে, আমি জেগে আছি। শত্রু বা লোকটির টার্গেট সম্পর্কে আরও একটু না জেনে সে তার অবস্থা তাকে জানাতে চায় না।
হ্যাঁ, ওটা দরজা থেকে আসাই শব্দ।
কে হতে পারে ওখানে?
পুলিশ কর্তৃপক্ষের কেউ? কিন্তু ওরা আস

অপারেশন তেলআবিব-২ অধ্যায়-১১ Saimum Series - 2

অধ্যায়-১১

অস্ত্র-শস্ত্রসহ বোটটাকে সামলে রেখে আহমদ মুসা প্রায় পনের মিনিট ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলছে।
আহমদ মুসা বেজ ক্যাম্পে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।
একটা গাছে উঠে সে আলো দেখে জায়গাটা মার্কিং করে সেদিকে এগোলো। পৌছল সেখানে। কিন্তু বেজ ক্যাম্প কোথায়? ওটা তো একটা পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। তার সাথে আছে একটা জ্বালানি ডিপো। দু’টিই সদ্য নির্মিত। আহমদ মুসা বুঝল ইসরাইলীরা তোয়া দ্বীপে নতুন আস্তানা গড়ার পর তারা এই নতুন পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সাপ্লাইকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এই কারণে এখনও রাস্তা তৈরি হয়নি। আহমদ মুসা ভাবল, তাহলে ওদের বেজ ক্যাম্প কোথায়? পেছনে ফেলে আসা দু’টিই কিংবা তাদের একটি বেজ ক্যাম্প হতে পারে? অতীত ভেবে আর লাভ নেই, মনে মনে বলল আহমদ মুসা। পেছনে ফেরার পথ নেই। তাকে সামনেই এগোতে হবে। আহমদ মুসা দ্রুত আরেকটা গাছে উঠল। লক্ষ্য, তোয়া দ্বীপের পূর্ব উপকূলে তোয়া শহরের অবস্থানের একটা ধারণা নেয়া। শহরের বিদ্যুৎ বাতির যে ছটা আকাশে উঠে। তা দেখে এই অবস্থান স্থির করা যায়।

How to find out MAC address of my Laptop



MAC address



A MAC address is the equivalent to the serial number of a network card. Each MAC address is unique, and so identifies the network card you have installed in your computer.

Your computer's MAC address in conjunction with your IP address is used to provide you with the most secure service ITS can offer.

Sometimes we need to know the laptop MAC address. Fox example, you want your laptop connect to a wireless network which is MAC address authentication needed. So you should get MAC address of your laptop first of all and here's how. 
Get laptop MAC address under Windows XP.

'মানুষ আমেরিকা ইউরোপে আসছে কারণ তাদের সমাজ আমরাই ধ্বংস করেছি'

নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে নোয়াম চমস্কির সাক্ষাৎকার
'মানুষ আমেরিকা ইউরোপে আসছে কারণ তাদের সমাজ আমরাই ধ্বংস করেছি'


দার্শনিক, ভাষাতত্ত্ববিদ, সমাজ সমালোচক নোয়াম চমস্কি নতুন বিশ্বব্যবস্থা সম্পর্কে বলে আসছেন অনেক দিন ধরে সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের তৎপরতা নিয়ে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন ব্যবস্থার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন চমস্কির মতে, সমাজ সংস্কৃতি, গণআন্দোলন, অর্থনৈতিক নিরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলোর মধ্যে সংযোগ রয়েছে নয়া ব্যবস্থা সে সংযোগকে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী করবে এদের মধ্যকার রসায়নকে আরো ভালোভাবে বিশ্লেষিত করবে, যা সবার ভাবনার দৌড়ের চেয়েও অনেকটা দ্রুততর চমস্কি সম্প্রতি Next System Project এর সাথে ব্যাপারে বিস্তৃত এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নয়া দিগন্তের পাঠকদের জন্য কিছুটা সংক্ষিপ্তভাবে সাক্ষাৎকারটির তুলে ধরেছেন সুমাইয়া হাবীবা
প্রশ্ন: আপনি ঠিক সময়টাতেই কেন ভাবছেন যে সমাজে অর্থনীতি রাজনীতির ব্যাপক অবনমন ঘটেছে। সমাজে ভালোকিছুর চেয়ে মন্দটাই বেশি হচ্ছে। থেকে পরিত্রাণের জন্য কোন বিষয়ে জোর দেয়া দরকার বলে ভাবছেন?
নোয়াম চমস্কি : এর উত্তর পেতে হলে আমাদের একটু সুদূর অতীতে ফিরে যেতে হবে। তিরিশের দশকের অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে যাওয়া যাক। আপনি যদি আজকের সাথে সে সময়ের তুলনা করেন,

ইহুদিবাদী শিকড়ই আজকের ইসরাইলকে ব্যাখ্যা করবে ?

জোনাথন কুক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সাংবাদিক ২০০১ সাল থেকে তিনি ইসরাইলের নাজারেথে বসবাস করে আসছেন ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ওপর তার বেশ টি বই রয়েছে এর মধ্যে Blood and Religion : The Unmasking of the Jewish State (2006)I Israel and the Clash of Civilisations : Iraq, Iran and the Plan to Remake the Middle East (2008) বিশেষভাবে আলোচিত জনাথনের Zionism’s roots help us interpret Israel today শীর্ষক লেখাটি ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্কটের মূল বিষয়টি বুঝতে সহায়তা করবে বলে আমাদের বিশ্বাস  
লেখাটি ভাষান্তর করেছেন তানজিলা কাওকাব

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল ইয়াইর গোলান গত সপ্তাহে ইহুদি গণহত্যা দিবস উপলক্ষে গেল শতাব্দীর তিরিশ দশকের জার্মানির সাথে আজকের ইসরায়েলের তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘অতীতের ইউরোপের মতো আজকের ইসরাইলে বিদ্রোহের প্রক্রিয়াকে খুব সহজেই চিনে নেয়া যায়।